একটি বাড়ী একটি খামার সন্ন্যাস বাড়ী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন দল গঠনে মূল
ভুমিকা পালন করে মো: সাইফুল ইসলাম ও এর সঙ্গে কয়েকজন লোক জড়িত আছে। অবশ্য
এখন তার বোকামির জন্য নিজেই ফাসিঁয়ে যাচ্ছে। যাক সেই কথায় পরে আসি।মোঃ
সাইফুল আমার বাবার ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে যায় একটি বাড়ী একটি খামার এর
সদস্য করবে বলে। তাতে লাভ একজন সদ্স্য একলক্ষ দেড়লক্ষ টাকা পাবে খামার করার
জন্য।শুধু আমার বাবা নয় এরকম আরও লোকজন থেকে সাইফুল আর একজন লোক বিভিন্ন
প্রলোভবন দেখিয়ে টাকা ও ভোটার আইডি নিয়ে যায়।কিন্তু আমার বাবা চাচা টাকা
দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের আর নাম রাখেনা।আমি মনে করলাম বিষয়টি কি এবং কোথায়
থেকে পরিচালিত হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে দেখি যে বিষয়টি আমাদের উপজেলা বি আর ডি বি
অফিস ভারপ্রাপ্ত এক চাকরীজিবী পরিচালনা করছে। সেখানে আমি প্রায় ধর্না দিতে
লাগলাম আমার নাম বসানোর জন্য।আমি অনুরোধ করে সেই চাকরীজিবীর নিকট একটি বাড়ী
একটি খামারে নাম বসাতে সক্ষম হয়।কিন্তু সেখানে আমাকে কিছু জালখরি পুড়াতে
হয়।এর মধ্যে কিছুদিন আমি আর বি আর ডি বি অফিসে যায়ন্। মোবাইলে যোগাযোগ
করছি। একদিন সেই চাকরিজীবি বলে তোমার নামে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে । তুমি
যোগাযোগ করে টাকাটা নিয়ে নাও।আমি সঙ্গে সঙ্গে তাদের সাথে দেখা করলাম।তখন
তারা বলল বেশি না ৫০০ শত টাকা আসছে তোমার নামে তা ওটা খরচ হয়ে গেছে।পরে কোন
বড় অনুদান আসলে আমি তোমার নাম দিবো।আমি এদের আচারণে বুঝলাম এটা
মরুচিকা।মনে কষ্ট নিয়ে চুপ করে থাকলাম।এর মধ্যে আর এক কান্ড। আমাদের
গ্রামের অন্যলোক গুলো ও আমার মত বসে নেই।তারা ঘটনার আচ বুঝতে পেরে সঠিক
হিসাব চাইতে গেলে তাদের ধরে মারধর করে।অবশ্য বিচার করে তার জরিমানা আদায়
করে।আসল কথায় আসা যাক….. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বূাচনে আমাদের গ্রামের
সম্ম্যানিত সত ব্যক্তী চেয়ারম্যান হিসাবে জয়রাভ করে।তার বিজয়ীর পর থেকে
গুরত্ববহ ঘটনা বের হতে থাকে।ঘটনা এরকম ঃআমার ৫০০ টাকা নয় প্রায় শোয়া লক্ষ
টাকা তারা হাতিয়ে নিয়েছে সাইফুল।যাহোক তার গ্রাম্য বিচার সালিশ করে
ধামাচাপার ব্যবস্থা করে।কিন্তু সরকার থেকে চাপ আসে যে সমিতির একটা সঠিক
তালিকা দেওয়া হোক।কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব নয়।কারণ বুঝতেই পারছেন
ফেরেস্তারা ভাগ করেছে কিন্তু ভাগ কাউকে দেইনি। পরে আবার উপজেলা থেকে লোকজন
আসে., বলে, অতীতে যা হবার হয়েছে তার বিচার হব।নতুন করে আপনারা আবার সমিতি
গঠন করুন।সেখানে আমাকে বি আর ডি বি অফিসে আসার জন্য বলল অফিসের লোকজন। সেই
মতে আমি চেয়ারম্যানের সহায়তায় অফিসে গিয়ে কাগজপত্র নিয়ে আসি।তারপর যাদের
নাম ব্যাবহার করেছে অথচ কোন অনুদান দেই পাইনি তাদের কাছে গেলাম কিন্তু কেউ
রাজি হলনা । কারণ গোয়াল পুরা গরু শিদুরে মেঘ দেখে ভয় পাই।গ্রামের
অন্যমানুষের নিকট গেলাম তারাও রাজি হলনা।তারপর চেয়ারম্যান এর সাহায্য নিয়ে
সমস্ত গ্রাম ঢুলপিটিয়ে মিটিং করলাম।তাতেও কোনফল হলোনা।সমিতির ৬০ জন সদ্যস
পুরন করতে পারছিনা।অনুরোধ করে কয়েকজন লোক সঙে্গ নিয়ে উপজেলা সম্নয়কারীর
কাছে বিষয় গুলো জানালাম।তখন তিনি পরামর্শ দিল আপনারা আপনাদের নিজের লোকের
নাম বসান।বাধ্য হয়ে নিজের টাকা অন্যকে ধার দিয়ে সমিতিতে নাম বসানোর পরও যখন
৬০ জন সদস্য করতে পারললম না তখন উপজেলা সম্মনয় কারী বললেন আপনারা একজন দুই
তিনটা করে নাম বসাতে পারবেন। তখন আমরা কয়েকজন দু তিনটি করে নাম বসালাম।এখন
সমিতি প্রতিষ্ঠীত ।দ্বিতুীয়বার অনুদান দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ঐ সদ্যসগুলোর
কি হবে। যারা একাই তিন নাম ব্যবহার করেছেন।এমন কি তাদের সই স্বাক্ষর কিছু
নাই।ডান হাত বাম হাত দিয়ে সই করে ফরমপুরন করে তাদের নামে 10000-15000 টাকা
নেওয়া আছে।বিষয়টি অবশ্যই কতৃপক্ষ নজরে নিবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন